প্রায় বছর খানেকের মধ্যে একাধিক করোনা ভ্যাকসিন তৈরী হয়ে গেল। শুধু তাই না, মানুষের ওপর এই ভ্যাকসিন এর প্রয়োগও চলছে ব্যাপক হারে। কোথাও আবার ভ্যাকসিনের ঘাটতিও দেখা দিচ্ছে। নতুন করে আবার ভ্যাকসিন ম্যানুফ্যাকচার করা চলছে। যেখানে, একটা ভ্যাকসিনের তৈরী এবং সেটা জনসাধারণের ওপর প্রয়োগ পর্যন্ত বিষয়টা বেশ সময় সাপেক্ষ সেখানে, এতো তাড়াতাড়ি করোনা ভ্যাকসিনের উদ্ভাবন এবং জনসাধারণের ওপর প্রয়োগ ব্যাপারটা খুবই বিস্ময়ের ! আসুন দেখা যাক, একটা ভ্যাকসিন তৈরির শুরু থেকে অর্থাৎ রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্ট থেকে শুরু করে ডেলিভার এবং ব্যাপক হরে জনসাধারণের ওপর প্রয়োগ পর্যন্ত কি কি স্টেজ অতিক্রম করতে হয়।
স্টেজ ১ : রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্ট (R&D)
সাধারণ ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে এই স্টেজে সময় লাগে প্রায় ২ থেকে ৪ বছর। কিন্তু COVID -19 এর ক্ষেত্রে রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্ট পর্যায়টি খুব তাড়াতাড়ি সম্পন্ন করা গেছে। এর কারণ জানুয়ারি, ২০২০ তে অর্থাৎ ভাইরাসটি যখন চীনেই সীমাবদ্ধ ছিল তখনই চীন সরকার এই ভাইরাসের জেনেটিক সিকোয়েন্স টি বিশ্বব্যাপী গবেষকদের মধ্যে শেয়ার করতে সক্ষম হয়েছিল।
স্টেজ ২: প্রি ক্লিনিকাল (Pre Clinical)
রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্ট পর্যায়টি শেষ হবার পর এই স্টেজে, প্রাণী (মানুষ না) ও উদ্ভিদের ওপর ভ্যাকসিনের প্রয়োগ চলে। এই পর্যায়ে গবেষকরা পর্যবেক্ষণ করেন যে আদৌ এই ভ্যাকসিন, প্রাণী বা উদ্ভিদদেহে প্রতিরোধের প্রতিক্রিয়া জাগিয়ে তুলছে কিনা। যদি রেজাল্ট নেগেটিভ আসে, তাহলে আবার স্টেজ ১ এর পর্যায়টি লম্বা সময় ধরে চলে। আর পজিটিভ হলে স্টেজ ৩ শুরু হয়।
স্টেজ ৩: ক্লিনিকাল ট্রায়াল (Clinical trials)
এই পর্যায়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং সঙ্কটজনক পর্যায়। কারণ এই পর্যায়ে ভ্যাকসিন, মানুষের ওপর প্রয়োগ করা হয়। এই পর্যায়টি সম্পন্ন করতে প্রায় ৭ থেকে ৭.৫ বছর পর্যন্ত সময় লাগে। এই স্টেজে আবার তিনটি সাব স্টেজ বা ফেজ আছে।
ফেজ ১:
খুব কম সংখ্যক মানুষের একটি গ্রুপে, ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয় এবং এটা পর্যবেক্ষণ করা হয় যে তাদের শরীরে এন্টিবডি ডেভেলপ হয়েছে কি না। প্রায় ৩ মাস পর্যন্ত সময় লাগে এই পর্যায়টি সম্পন্ন করতে।
ফেজ ২:
এই পর্যায়ে, আরো বেশি সংখ্যক মানুষের ওপর ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়। পর্যায়টি সম্পন্ন করতে প্রায় ৬ থেকে ৮ মাস পর্যন্ত সময় লাগে। এই পর্যায়ে দেখা হয়, ভ্যাকসিন প্রয়োগের পরে, প্রয়োগকারীর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়েছে কিনা এবং প্রয়োগকারীর শরীরে ভ্যাকসিনের কার্জক্ষমতা অর্থাৎ ভ্যাকসিন ভাইরাস বিরুদ্ধ প্রতিক্রিয়া তৈরী করতে পারছে কিনা বিচার করা হয় ।
ফেজ ৩:
কয়েক হাজার মানুষের ওপর ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয় এই পর্যায়ে এবং এটা পর্যবেক্ষণ করা হয় যে এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীতে এই ভ্যাকসিন কিভাবে কাজ করছে। এই ক্ষেত্রে আরো ৬ থেকে ৮ মাস সময় লাগে।
স্টেজ ৪ : রেগুলেটরি রিভিউ (Regulatory review)
এই সমস্ত ফেজ এবং স্টেজ সফল ভাবে সম্পন্ন করার পর, ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিরা, রেগুলেটরি এজেন্সির কাছে পারমিশন চায় ভ্যাকসিন ম্যানুফ্যাকচার করার জন্য। এই পর্যায়টিও বেশ সময় সাপেক্ষ তবে ইমার্জেন্সির কথা মাথায় রেখে সময় কমানো যেতে পারে।
স্টেজ ৫ : উৎপাদন এবং গুন নিয়ন্ত্রণ (Manufacturing and Quality Control)
এই পর্যায়ে বিপুল সংখ্যক ভ্যাকসিন উৎপাদন করার জন্য যথাযথ পরিকাঠামো সম্পন্ন ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা এবং পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন।
বিশেষ সতর্কতা : সমস্ত তথ্য এবং পরিসংখ্যান ইন্টারনেট থেকে পাওয়া।
কৃতজ্ঞতা : FINANCIAL EXPRESS
আরও পড়ুন :
1 মন্তব্যসমূহ
People celebrated the third millennium on January 1, 2000. They celebrated the passing of solely 1999 years since, when the calendar 코인카지노 was arrange, no yr zero was specified. Most folks could not grasp why the third millennium and twenty-first century started on January 1, 2001 AD, though one might forgive the original calendar error. That is, your anticipated loss on each spin of the wheel is approximately 5.three cents. A population dimension that is too giant will give better outcomes however might be too sluggish to be of any sensible value. On the opposite hand, a very small population might be less correct.
উত্তরমুছুনআপনার মূল্যবান মন্তব্য আমাকে অনুপ্রাণিত করে !