Ticker

6/recent/ticker-posts

ভারতে 'ডাবল মিউট্যান্ট' ('Double mutant') কোভিড স্ট্রেন

ভারতে " ডাবল মিউট্যান্ট " কোভিড স্ট্রেন , double mutant covid strain

সরকারি ভাবে জানানো হল, একটি " ডাবল মিউট্যান্ট " করোনা ভাইরাস যেটা, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে প্রথম, মহারাষ্ট্রের নাগপুর - এ পাওয়া গেছিলো, এখন সেই ভাইরাস আরো ১৮ টি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। এই নতুন ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত প্রায় ২০ শতাংশ কেস মহারাষ্ট্র থেকে রিপোর্ট করা হয়েছে।  এছাড়া দিল্লী, গুজরাট, পাঞ্জাব থেকেও এই নতুন ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত কেসের রিপোর্ট করা হয়েছে।

এখন প্রশ্ন হল, এই " ডাবল মিউট্যান্ট " করোনা ভাইরাস কি ? আগের ভাইরাসের তুলনায় কতটা ক্ষতিকর ? এবং ভারতে আবিষ্কৃত ভ্যাকসিন কতটা   কার্যকরী হবে এই ভাইরাস এর ওপর ? 

" ডাবল মিউট্যান্ট " করোনা ভাইরাস কি?

ডাবল মিউটেটেড ভাইরাস হল, যখন দুটো মিউটেটেড ভাইরাসের স্ট্রেন একসাথে মিলে একটি নতুন ভাইরাসের স্ট্রেন তৈরী করে। এক্ষেত্রে, মানে যে নতুন স্ট্রেনটি রিপোর্ট করা হয়েছে তা হল, E484Q স্ট্রেন এবং  L452R স্ট্রেন মিলিত ফলাফল। L452R স্ট্রেন পাওয়া গেছিলো ক্যালিফর্নিয়া, ইউনাইটেড স্টেটস- এ আর E484Q স্ট্রেন হল আমাদের দেশীয়। 

ডাবল মিউটেশন এর ফলে ভাইরাস শক্তিশালী হয়। আমাদের এন্টিবডির কাছে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ক্ষমতা রাখে। কিছু ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের থেকেও নিজেকে রক্ষা করতে পারে। মানে আমাদের শরীরে এন্টিবডি তৈরী হলেও ওই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারি আবার  ভ্যাকসিন নিলেও ওই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারি। 

আগের ভাইরাসের তুলনায় কতটা ক্ষতিকর?

সেন্টার ফর সেলুলার এন্ড মাইক্রোবায়োলজি, হায়দ্রাবাদ (Center For Cellular & Microbiology, in Hyderabad) এর ডিরেক্টর, ডক্টর  রাকেশ মিশ্র  বলেন, এই নতুন স্ট্রেনটি শক্তিশালী তবে এটি এখনো সুপারস্প্রেডার নয়। তবে এটা বিশ্বাস করার কোন কারণ নেই যে এটি ভীষণ ক্ষতিকারক কারণ এখনো সেটা পর্যবেক্ষণের বিষয়। আরো তদন্তের প্রয়োজন। 

তিনি আরো জানান, ভাইরাস এর মধ্যে 'মিউটেশন' একটা সাধারণ ব্যাপার। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ব্যাপারটা গুরুত্বহীন। মানে, নতুন ভাইরাস যে খুব বেশি সংক্রমিত হবে বা ক্ষতিকর হবে সেরকম না। তবে যদিও, কিছু ভাইরাস যেগুলো ইউনাইটেড কিংডম বা সাউথ আফ্রিকাতে পাওয়া গেছে সেগুলো মিউটেশন এর পর মারাত্মক হতে পারে।   

ভারতে আবিষ্কৃত ভ্যাকসিন কতটা   কার্যকরী হবে এই ভাইরাস এর ওপর ?

ডক্টর  রাকেশ মিশ্র বলেন, এটা বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই যে, ভারতের Covishield এবং Covaxin এই নতুন স্ট্র্রেনের ভাইরাসের ওপর কাজ করবে না। তবে এক্সপার্ট রা বলছেন, Pfizer আর Moderna র তৈরী ভ্যাকসিন ভারতে আনতে হবে কারণ এটা প্রমাণিত হয়েছে যে এদের তৈরী ভ্যাকসিন নতুন স্ট্রেন এর ওপর অনেক বেশি কার্যক্ষম।





তথ্যঋণ : NDTV,  BBC


আরও পড়ুন :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ