লাড্ডু শব্দটি সংস্কৃত শব্দ লাড্ডুকা বা লাত্তিকা শব্দ থেকে এসেছে যার অর্থ হল ছোট বল। বেসনের লাড্ডু হল বেসনের তৈরি ছোট বল। বেসন হল ছোলার ডাল কে গুঁড়িয়ে তৈরি একটা গুঁড়ো বিষয়। এবার এই গুঁড়ো বিষয় দিয়ে ছোট বল তৈরির ঘটনাটাই আজকের বিষয়বস্তু। সোজা কথায় বেসনের লাড্ডু কিভাবে বানিয়েছি সেটাই বলবো।
গুগল কাকিমা বলছেন এটা নাকি উত্তর ভারতের মিষ্টি আর দক্ষিণ ভারতেও খুব প্রসিদ্ধ। তামিল ভাষায় এর নাম ' কাড়ালাই মাভুউরুনডাই '। আমরা থাকি ভারতের পূর্ব দিকে, পশ্চিমবঙ্গে। আমাদের রসগোল্লার টাই বেশি চলে। তবে বাঙালি হবার কারণে খাবার বিষয়ে আমাদের সবই চলে। আমরা একইসাথে রসিক এবং বেরসিকও বটে। মানে রসের মিষ্টির সাথে সাথে রস ছাড়া মিষ্টিও খাই। যাক এবার বলি কিভাবে এটি বানিয়েছি।
উপোকরণ-
বেসন, বাতাসা বা চিনি, ঘী, হলুদ গুঁড়ো, কাজু (এটা বাধ্যতামূলক না) আর একটু ধৈর্য।
পরিমান-
২ কাপ বেসন, ঐ কাপের ১ কাপ বাতাসা গুঁড়ো বা চিনি গুঁড়ো, আর আধ কাপ ঘী। এই ক্ষেত্রে একটা ratio মাথায় রাখতে হবে তা হল - বেসন : বাতাসা : ঘী = ৪:২:১ বা ২:১:১/২। এক চিমটি (১/৪ চামচ) হলুদ গুঁড়ো (এটা রং আনার জন্য। একদমই বাধ্যতামূলক না)। ১/২ কাপ কাজু (ছোট করে কাটা)।
প্রণালী-
প্রথমে বেসন টা ভাল করে রোস্ট করে নিতে হবে কড়াইতে যাতে বেসনের যে গন্ধ থাকে সেটা যেন চলে যায়। এরপর এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো দিতে হবে ভালো রং আনার জন্য। এবার ঘী দিয়ে হালকা আঁচে কিছুক্ষণ ধীরে ধীরে ধৈর্য ধরে নাড়তে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত না ঘী আর বেসন পুরো মিশে যায়। এখন ছোট করে কেটে রাখা কাজু দিয়ে আরো একটু নাড়তে হবে। তারপর মিশ্রণটা ঠান্ডা করতে হবে ঘরের সাধারন তাপমাত্রা অনুযায়ী। মিশ্রণ ঠান্ডা হলে তাতে বাতাসা গুঁড়ো বা চিনির গুঁড়ো মিশিয়ে দিতে হবে যদি মিশ্রণটি খুব পাতলা লাগে আর ঘী দিতে হবে যদি মিশ্রণটি খুব শক্ত লাগে। এবার মিশ্রণটিকে গোল গোল লাড্ডুর আকার দিতে হবে। ব্যাস হয়ে গেল আমাদের সুস্বাদু বেসনের লাডু।
সায়নীর রান্নাঘর থেকে সংগৃহীত…
1 মন্তব্যসমূহ
Bangali manei khaddo rosik tai rosogolla tei sudhu eeti tane ni
উত্তরমুছুনআপনার মূল্যবান মন্তব্য আমাকে অনুপ্রাণিত করে !